ফের শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম হলেন মুফতি ছাইফুল্লাহ

কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৮:০১ পিএম
-67c464a067972.jpg)
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও দেশের সর্বপ্রাচীন ও সর্ববৃহৎ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমামের দায়িত্বে ফিরেছেন মুফতি মাওলানা আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।
রোববার (২ মার্চ) কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. এরশাদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুসল্লিদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুসারে ছাইফুল্লাহকে পুনঃরায় ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ঈদগাহের ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক প্রভাব ও আওয়ামী নেতাদের চাপের মুখে তৎকালীন জেলা প্রশাসক তাকে সরিয়ে দেন। সে সময় ওয়াকফ দলিলের তোয়াক্কা না করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়ে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সরকার পতনের পর থেকে ফরিদ উদ্দিন আত্মগোপনে রয়েছেন। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রামপুরা থানার একটি হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে তাকে।
মুফতি ছাইফুল্লাহর আগে তার বাবা মাওলানা এ কে এম নূরুল্লাহ টানা ৩০ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহের অবৈতনিক ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।