Logo
Logo
×

সারাদেশ

নিষেধাজ্ঞায়ও মেঘনায় চলছে অবাধে মাছ শিকার

Icon

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম

নিষেধাজ্ঞায়ও মেঘনায় চলছে অবাধে মাছ শিকার

জাটকা রক্ষায় শুরু হয়েছে পদ্মা-মেঘনাসহ ৬টি নদীতে সব ধরণের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদীর অংশে শত শত নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে জেলেরা। এতে মাছের প্রজনন ও বংশ বিস্তারে ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও মেঘনায় অভিযান পরিচালনা না করায় জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার বন্ধ করতে সোমবার থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

শনিবার ও রোববার উপজেলার রামনেওয়াজ, হাজিরহাট, দাসেরহাট, মাস্টারহাট, লতাখালি, জনতা ও কোড়ালিয়া মৎস্য ঘাট সংলগ্ন মেঘনায় গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে অবাধে। এছাড়া নিষিদ্ধ বেহুন্দি ও বেড়া জাল দিয়ে মাছ ধরছে জেলেরা। আবার জেলেদের ধরা জাটকা, ছোট ছোট পোয়া, পাঙ্গাসের পোনা অবাধে বিক্রি করছে মৎস্য আড়ত ও হাট-বাজারে।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জাটকাসহ সব ধরণের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জাটকাসহ সকল ধরণের মাছ পরিবহণ, বিক্রি ও সংরক্ষণও নিষিদ্ধ করা হয়।

মনপুরার স্থানীয় বাসিন্দা কামাল, জামাল, হোসেন, ইব্রাহীম, রাফেজ, আলাউদ্দিনসহ একাধিক জেলে জানান, প্রতি বছর এ সময় মেঘনায় প্রশাসনের অভিযানের কারণে জেলেরা মেঘনায় মাছ শিকার করে না। কিন্তু এ বছর মেঘনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা না করায় অবাধে মাছ শিকার করছে জেলেরা।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘অফিসের কাজে ভোলায় আছি। সোমবার মনপুরায় এসে মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া কোস্টগার্ড মেঘনায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিখন বনিক বলেন, ‘মৎস্য অফিসার না থাকায় মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হয় যাচ্ছে না। তিনি (মৎস্য অফিসার) সোমবার আসলেই মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম