Logo
Logo
×

সারাদেশ

কমলগঞ্জে সয়াবিন তেলের সংকট, রোজার শুরুতেই বিপাকে ভোক্তারা

Icon

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ১০:২৪ পিএম

কমলগঞ্জে সয়াবিন তেলের সংকট, রোজার শুরুতেই বিপাকে ভোক্তারা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রমজানের মাস খানেক আগে থেকেই বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এখনো খুচরা ও পাইকারি বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট কাটেনি।

উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরেও বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। কবে নাগাদ এই তেল বাজারে পাওয়া যাবে বা সরবরাহ ঠিক হবে, সেই তথ্যও দিতে পারছেন না বিক্রেতারা। এর মাঝেই খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে অতিরিক্ত দামে। 

কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর, আদমপুর, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট। ক্রেতারা রোজার বাজার একসঙ্গে কিনলেও তেল না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেকেই এক বাজার থেকে অন্য বাজারে তেলের জন্য ছোটাছুটি করছেন তবুও তেল সংগ্রহ করতে পারেননি। 

কেউ সয়াবিন তেল না পেয়ে বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর তেল কিনে নিচ্ছেন। আর দুই এক দোকানে বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও নির্ধারিত দামের চেয়ে লিটার প্রতি ২৫-৩০ টাকা বেশি দিয়ে কিনছেন। 

ক্রেতারা জানান, রমজান আসলেই সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পায়। শুধু দাম নয় অনেক পণ্য সামগ্রিই আছে, যা টাকা দিয়েও পাওয়া যায় না। বোতলজাত সয়াবিন তেল টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। তেলের এতো সংকট এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এছাড়া পামওয়েলের দাম লিটার প্রতি ১০-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। 

ক্রেতা আব্দুর রহমান, নোমোন আহমেদ জানান, বাজারে বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া যায়নি। ৫টা দোকান ঘুরে একটি দোকানে ১ লিটার তেল পেয়েছি। তাও আবার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০ টাকা বেশি দিয়ে। খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ২০-৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। 

উপজেলার খুচার বিক্রেতারা জানান, গত ৩ মাস ধরেই বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। প্রায় ১ মাস আগে তেলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি বাজারে তেল কিনতে গেলে তারা সরাসরি ‘নাই’ বলে জানিয়ে দেন। ফেব্রুয়ারি মাসে তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কোনোভাবেই ক্রেতাদের তেল দেওয়া যাচ্ছে না।

মুদি দোকানের মালিক আজাদ বলেন, সয়াবিন তেল বাজারে না থাকায় বিক্রি করতে পারছি না। তেল না থাকায় অনেক ক্রেতা দোকান থেকে চলে যাচ্ছেন। এমন অভিযোগ আরও অনেক ব্যবসায়ীর।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট রয়েছে। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে। একই সঙ্গে আমরা প্রতিদিন বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করছি। যারা সয়াবিন তেল দোকানে রেখে ক্রেতাদেরকে নাই বলছেন, তাদেরকেও জরিমানা করছি। আবার যারা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন- অভিযোগ পেলে তাদেরকেও জরিমানা করছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম