Logo
Logo
×

সারাদেশ

ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

সাবেক ইউএনও পাউবো কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের নামে মামলা

Icon

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম

সাবেক ইউএনও পাউবো কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের নামে মামলা

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হাওড়ের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়।

শাল্লা উপজেলার খলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক পতাকী রঞ্জন দাস এ মামলাটি দায়ের করেন। 

আদালতের বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন অভিযোগ আমলে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মল্লিক মো. মঈন উদ্দীন সোহেল।

মামলার আসামিরা হলেন- শাল্লার সাবেক ইউএনও এস এম তারেক সুলতান; শাল্লার দায়িত্বে থাকা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী রিপন আলী; শাল্লা উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের ২২ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি মো. হাসিম উদ্দিন, সদস্য সচিব মিনাদুল মিয়া; ৫৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি মজনু মিয়া, সদস্য সচিব ফজলুল হক; ২৪ নম্বর পিআইসির সভাপতি কালাম মিয়া, সদস্য সচিব ফজল মিয়া; ৪৫ নম্বর পিআইসির সভাপতি আবদুল কাদির মিয়া, সদস্য সচিব সরাফত আলী; ৭৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি কালীপদ দাস, সদস্য সচিব প্রভাত দাস; ৭৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি সুজিত চন্দ্র দাস, সদস্য সচিব সমীরণ দাস; ৫৯ নম্বর পিআইসির সভাপতি দীপক চন্দ্র দাস ও সদস্য সচিব পবিত্র মোহন দাস।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ্য করেন, হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের নীতিমালা (কাবিটা) অনুযায়ী স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে পিআইসির মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য হাওড় এলাকায় বাঁধের নিকটবর্তী জমির মালিক ও উপকারভোগীদের সম্পৃক্ত করে পিআইসি গঠন করার কথা উল্লেখ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব আবশ্যিকভাবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসব পিআইসি গঠন করবেন। গঠিত পিআইসিগুলো ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করে অবশ্যই ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করবে। কিন্তু উল্লেখিত অনেক পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট বাঁধের পার্শ্ববর্তী জমির মালিক নন, এমনকি উপকারভোগীও নন- এমন লোকজনকে নিয়ে পিআইসি গঠন করেন। উল্লেখিত সব বাঁধের নিকটবর্তী জমির মালিকদের অজ্ঞাত কারণে কোনো কমিটিতেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। উপজেলা কমিটির অন্য সদস্যদের মতামত না নিয়ে আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে পিআইসিগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে পিআইসি গঠন করে সম্পূর্ণ বাঁধের কাজ না করে সরকারি টাকা আত্মসাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মামলার বাদী পতাকী রঞ্জন দাস জানান, হাওড়ে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে কৃষকের একমাত্র বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এই অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই কাজে গাফিলতি হয়। হাওড়ে আমার অনেক জমি। জমির ফসল নিয়ে আমি চিন্তিত। হাওড়ের কৃষকদের স্বার্থেই আমি মামলা করেছি।

সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের হাওড়ে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। সে অনুযায়ী শুক্রবারই শেষ হচ্ছে সময়সীমা। জেলায় এবার ১২টি উপজেলার ৫৩টি হাওড়ে ৬৮৬ প্রকল্পে বাঁধের কাজ হচ্ছে। এ জন্য প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা।

পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৯০ ভাগ। আমরা আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর আবেদন করেছি। এই সময়ের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম