রমজানে ২২৬ এতিম ও বৃদ্ধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মেহেরুন্নেছা

আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী)
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
-67c1d2c5a2ac2.jpg)
রাজশাহী শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট গ্রাম। এই গ্রামে গড়ে উঠেছে ছোট্ট একটি এতিমখানা। নাম দেওয়া হয়েছে সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন।
বর্তমানে এতিমের সংখ্যা ১৬৬ জন। আর বৃদ্ধ রয়েছেন ৬০ জন। এতিমদের মধ্যে ছেলে ১১৫ জন ও মেয়ে ৫১ জন। এসব এতিম সন্তানরা কেউই তার নিজের নয়। সবাই মেহেরুন্নেছাকে মা বলে ডাকেন। আসছে রমজান মাসকে সামনে রেখে তিনি রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
জানা গেছে, ১৯৮৪ সাল থেকে তার ৩৫ বছরে পৈতৃক ১৭ বিঘা জমি বিক্রি করে এতিম ও বৃদ্ধদের রক্ষা করেন। এর মধ্যে এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা শামসুদ্দিন সরকার শমেস ডাক্তার ২০২৪ সালের ১২ অক্টোবর মৃত্যু হওয়ার পর তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো সামনে রমজান মাস। অন্য সময়ে কমবেশি যাই খাক না কেন- এ মাসে ছেলেমেয়েদের একটু মানসম্মত খাবার সংগ্রহ নিয়ে রয়েছেন চিন্তায়। বর্তমানে ৫২ শতাংশ জমির উপর এতিমখানাটি উপজেলা সদর থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পূর্বে সরেরহাট গ্রামে অবস্থিত।
এ বিষয়ে এতিমখানার পরিচালক মেহেরুন্নেছা বলেন, ছেলেমেয়ের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে যে সহযোগিতা পাই, তা দিয়ে ৬ মাস চলে। আর ছয় মাস বিভিন্ন দোকানে বাকি রাখতে হয়। বছর শেষে ১০-১২ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে থাকতে হয়। এর মধ্যে চলে এসেছে রমজান মাস। এ মাসে খরচটা অন্য মাসের চেয়ে বেশি হয়। এ নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি।