নিখোঁজের ৪১ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল দোলামণির বস্তাবন্দি লাশ

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১ পিএম

রংপুরের কাউনিয়ায় মাদ্রাসাশিক্ষার্থী দোলামণি নিখোঁজের ৪১ দিন পর সেপটিক ট্যাংকি থেকে বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মধ্য ধর্মেশ্বর মহেশা (বিজলের ঘুন্টি) গ্রামের আফজাল হোসেনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মধ্য ধর্মেশ্বর মহেশা (বিজলের ঘুন্টি) গ্রামের মো. দেলোয়ার মিয়ার কন্যা মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী দোলামণি (৪) বাড়ির লোকজনের অগোচরে ১৭ জানুয়ারি বিকালে বাড়ি থেকে উঠানে বের হয়। কিছুক্ষণ পর তাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে তাকে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও দোলামণির খোঁজ না মিললে বৃহস্পতিবার কাউনিয়া ও পীরগাছা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দেলোয়ার হোসেন।
পরে রংপুর ৭২ ব্রিগেডের অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩০ বেঙ্গল ইউনিটের ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান নিয়নের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী আফজাল হোসেনের বাড়ির বাহিরে স্থাপিত সেপটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে সিমেন্টের বস্তায় দোলামণির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পরে কাউনিয়া থানায় লাশ হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
নিহতের বাবা তিনজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতেই কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার সকালে তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
দোলামণির স্বজনরা জানান, জামা সেলাইয়ের পাওনা টাকা নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে নুরুল ইসলামের স্ত্রীর বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে দোলামণিকে বাড়ির উঠানে একাকী পেয়ে নুরুল ইসলাম গং তাকে হত্যা করে সিমেন্টের বস্তায় ভরে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- কাউনিয়া থানার কুর্শা ইউনিয়নের ধর্মেশ্বর গ্রামের হানিফ উদ্দিনের পুত্র নুরুল ইসলাম (৪৫), একই গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র মামুন মিয়া (১৯), আব্দুস সালামের পুত্র সুমন মিয়া (২৬)।
কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দোলামণি হত্যা মামলায় তিন আসামিকে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করে। শুক্রবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।