যাকে পড়াতেন তাকে নিয়েই পালালেন শিক্ষক

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া কাজী ওয়ালী উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রহিমের হাত ধরে পালিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওই উধাও হওয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শিক্ষকের সঙ্গে উধাও হওয়া ছাত্রী সাদিয়া কাউলীবেড়া কাজী ওয়ালী উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে ভাঙ্গা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে শিক্ষক ও ছাত্রী উধাও হলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, কাউলীবেড়া কাজী ওয়ালী উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম ১০ বছর আগে বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ওই ছাত্রী ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করে। দশম শ্রেণি থেকে শিক্ষক আব্দুর রহিমের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ছাত্রী কলেজে চলে গেলেও তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
একপর্যায়ে ঘটনাটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে জানাজানি হলে শিক্ষককে সতর্ক করা হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে তারা দুই জন উধাও হয়ে যান। বর্তমানে ঘটনাটি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। এর আগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আব্দুর রহিমকে কয়েকবার সতর্ক ও নোটিশ করা হয়েছিল।
এলাকাবাসী আরও জানান, আব্দুর রহিম বিবাহিত তার স্ত্রী ও এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারপরও সাবেক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান আব্দুর রহিম। শিক্ষক-ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাজী জাফর উল্লাহর বাড়ির সঙ্গে এবং তাদের পরিবারের নামে স্কুলটি। তাই স্কুলের সম্মান ক্ষুণ্ণ হবে বলে এতদিন কেউ মুখ খোলেননি।
এ বিষয়ে কাজী ওয়ালী উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন খান বলেন, মেয়েটি আমার স্কুলের ছাত্রী ছিল। বর্তমানে ভাঙ্গা মহিলা কলেজে পড়ে। আব্দুর রহিম নামের আমার একজন সহকারী শিক্ষকের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে আমি তাকে নিষেধ করেছি। হঠাৎ গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক উধাও হয়ে যায়। স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় তাকে নোটিশ করেছি। বৃহস্পতিবার সকালে আমার শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিং করেছি এবং উধাও হওয়া শিক্ষক আব্দুর রহিমের বাবাকে ডেকে বলেছি, আপনার ছেলেকে রিজাইনপত্র দিতে বলেন। অন্যথায় তাকে বহিষ্কার করা হবে। শিক্ষককে ফোন করে বলেছি। আজ রিজাইনপত্র না পেলে তাকে আমরা মিটিং ডেকে বহিষ্কার করব।