
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৬ এএম
যুবলীগ নেতার মারধরে প্রাণ গেল বিএনপি কর্মীর

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ পিএম

আরও পড়ুন
ফেনীর দাগনভূঞায় যুবলীগ নেতার মারধরে বেলাল হোসেন (৫০) নামে আহত এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দাগনভূঞার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
নিহত বেলাল হোসেন উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের
প্রতাপপুর গ্রামের খলিল ভূঞা বাড়ির আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে
নিহতের বাড়ির দরজায় তাকে মারধর করা হয়।
নিহতের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার জানায়, তার বাবা
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের বাড়ির (খলিল ভূঞা বাড়ি) সামনের রাস্তায় দাঁড়ান
ছিলেন। তখন প্রতাপপুর গ্রামের মোমিন ব্যাপারী বাড়ির যুবলীগ নেতা শামসুদ্দিন (২২), বিপ্লব
(২০) ও মজিবুল হক (৫০) এসে তার বাবাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পাশের জমিতে ফেলে দেয়।
পরে এলাকার লোকজন তাকে অচেতন অবস্থায় দেখে পরিবারকে
খবর দিলে তারা তাকে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দাগনভূঞার একটি প্রাইভেট হসপিটালে
ভর্তি করা হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু
হয়।
দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নিজাম
উদ্দিন ভূঞা হুদন জানান, নিহত ব্যক্তি ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি
বিএনপির ত্যাগী কর্মী। তাকে যারা মারধর করেছে, সেই শামসুদ্দিন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে
জড়িত। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার দাবি করছি।
দাগনভূঞা পপুলার হসপিটালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার
ডা. আনোয়ার হোসেন মাহাদী জানান, নিহত ব্যক্তিকে যে মারধর করা হয়েছে, তা গোপন রেখেই
ওই রোগী হসপিটালে ভর্তি হন। পরে আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি তার পেটে গ্যাসের সমস্যা
ও ফুসফুসে ইনফেকশন ছিল। আমি তার মুখে খাবার বন্ধ করে নল দিয়ে খাবার দেওয়ার নির্দেশ
দেই।
বিকালে রোগীর মেয়ে আমাকে জানান, তার বাবাকে
মারধর করা হয়েছে। সেজন্য তার পুরো শরীরে ব্যথা। পরে আমি তাকে হালকা ব্যথার ওষুধ দিয়েছি।
দাগনভূঞা থানার ওসি লুৎফুর রহমান জানান, লাশ
ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার
পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।