রাজৈরে অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৪ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাদারীপুরে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এছাড়া বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক।
তদন্ত শেষে গত সোমবার বিকালে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দেন মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান। অভিযুক্ত কর্মচারি মাদারীপুর শহরের পাঠককান্দী এলাকার কিনাই ফকিরের ছেলে।
দুদক ও চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান ফকির ৫৩ লাখ ২০ হাজার ৭৪৭.৫২ টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া আসামি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৯৭০.০৭ টাকার সম্পদের তথ্য অসদুদ্দেশ্যে গোপন রেখে মিথ্যা তথ্য দেন। দুর্নীতি ও ঘুসের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
মিজানুর রহমান গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি গাড়ি ক্রয়ের ব্যবসা করেছেন বলে তার লিখিত বক্তব্যে দুদুককে জানিয়েছেন। তার গাড়ি ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত ১২লাখ ৫০পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করেছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র না নিয়ে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তিনি ব্যবসা করেছেন। এটিও বিধি বহির্ভূত বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ এবং সরকারি চাকরি বিধিমালা ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছি। বিভিন্ন আলামতসহ চার্জশিট সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জমা দিয়েছি।
মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ্ মো. সজীব জানান, কিভাবে মিজান ভিপি সম্পত্তি লিজ নিয়েছে তা জানা নেই। তবে আমরা বিষয়টি অবগত হওয়ার পর মিজানের নেওয়া ভিপি সম্পত্তির লিজ বাতিল করা হয়েছে।
