বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম

নাটোরের সিংড়ায় তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বিজয়নগর গ্রামের একটি মাদ্রাসার ফাঁকা কক্ষে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আবু বক্কর (১৯) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ধর্ষক উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের ভ্যানচালক আবু হানিফের ছেলে এবং পিপলসন কওমি মাদ্রাসার কিতাবখানার ছাত্র।
এদিকে বুধবার সকালে ধর্ষণের শিকার ওই শিশু শিক্ষার্থীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নাটোর জজ আদালতে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে ধর্ষিতা পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ৮ বছরের তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে বিজয়নগর গ্রামের একটি মাদ্রাসার ফাঁকা কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আবু বক্কর। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ধর্ষক আবু বক্কর পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
আর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকার অন্তত সাতজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধর্ষক আবু বক্কর এর আগেও মাদ্রাসায় লেখাপড়া অবস্থায় সিংড়া উপজেলার নিঙ্গইন গ্রামের একটি মেয়েকে নিয়ে উধাও হয়। তাকে পালিয়ে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে তাদের তালাক হয়ে যায়। এছাড়াও অভিযুক্ত ধর্ষকের বিরুদ্ধে মেয়েদের রাস্তা-ঘাটে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্তের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর মদিনাতুল কওমি মাদ্রাসার দায়িত্বরত মোয়াজ্জিম শরিফুল ইসলাম সেন্টু বলেন, তিন দিন আগে মাদ্রাসা ছুটি দেওয়ায় ফাঁকা ছিল। শুধু আজান ও নামাজের জন্য তিনি দায়িত্বে ছিলেন। মাদ্রাসার একটি কক্ষ খুলে রেখে বাজারে যাওয়ায় তার অনুপস্থিতিতে ওই কক্ষে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম খোকন মোবাইল ফোনে বলেন, ওই শিশু শিক্ষার্থীর আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সঠিক তথ্য দেওয়া হবে।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে সহকারী পুলিশ সুপার সিংড়া সার্কেল সনজয় কুমার সরকার বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।