সমন্বয়কদের অবরুদ্ধ করার কারণ জানালেন বারিন্দের শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম

রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজে সাবেক এক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ চার ছাত্রনেতাকে অবরুদ্ধ করার কারণ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে মেডিকেল কলেজে সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানিয়েছেন, অন্য কোনো বিষয় তাদের জানা নেই। শুধু শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণেই ওই চারজনকে অবরুদ্ধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বারিন্দ মেডিকেল কলেজের বারিন্দ ডক্টর সেবার সভাপতি ডা. সাদিক। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক আতিক শাহরিয়ার শামস, সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিন হকসহ বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. সাদিক বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) কিছু ব্যক্তি আমাদের স্যারদের কাছে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে হয়ত একটু অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসেন। কারা এসেছিলেন, এটা তারা দেখেননি। যেকোনো মানুষ এসে যদি আমাদের শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, শিক্ষার্থীদের আচরণ এ রকম হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটিকে এখন রাজনৈতিক ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা চলছে; কিন্তু আমাদের এখানে কোনো ধরনের রাজনীতি হয় না। রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো জনবলও নিয়োগ হয় না। সব নিয়োগ হয় মেধার ভিত্তিতে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কেউ কোনোদিন আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আলাপ করেননি।
ডা. সাদিক দাবি করেন, জুলাই আন্দোলনের সময় ডক্টর সেবা সংগঠনের ব্যানারে এ প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে আহতদের সেবা দেওয়া হয়েছে। এটা এখনো চলমান। প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি নিয়ম মেনে মেধাবীদের বিনামূল্যে পড়ানো হয়। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জিকেএম মেশকাত চৌধুরী মিশু, সংগঠনের জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক সোহাগ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল বারী ও ছাত্রনেতা আল-সাকিব প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, তারা প্রতিষ্ঠানটিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলেন। ছাত্রনেতাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে কিছু তথ্য নিতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ‘মব’ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন।
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মালিক আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আত্মগোপনের আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বাবা মো. শামসুদ্দিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।