Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাজেক ভ্যালি এখন ধ্বংসস্তূপ

Icon

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম

সাজেক ভ্যালি এখন ধ্বংসস্তূপ

২৪ ফেব্রুয়ারি লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মানবেতর পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তরা। বুধবার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে প্রশাসন।

তবে এ ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে সোমবার রাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিলেও পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর মঙ্গলবার তা প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে রিসোর্ট, কটেজ ও বসতঘরসহ ৯৮টি স্থাপনা পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে ৩৫টি রিসোর্ট ও কটেজ, ৩৬টি বসতঘর, ৭টি রেস্টুরেন্ট এবং ২০টি দোকান। বসতঘর পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন স্থানীয় শিবমিন্দা ও গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা যায়।

বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ৩৬ পরিবারের প্রত্যেককে সাড়ে ৭ হাজার টাকার চেক ও ৩০ কেজি করে চাল ত্রাণ সহায়তা তুলে দেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার। এছাড়া শুকনো খাবার ও কম্বলও বিতরণ করা হয়।

ইউএনও বলেন, সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া রিসোর্ট, কটেজ, দোকানের পাশাপাশি স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ৩৬ পরিবার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমীন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।

সাজেকের আগুনের ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদ্ঘাটনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মোবারক হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ কমিটির প্রধান মো. মোবারক হোসেন।

এদিকে বুধবার বিকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাজেকের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বলে জানা গেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম