আশুলিয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৬

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মোমেনুল ইসলাম মকমিন (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিন রাত ১১টার দিকে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে তাকে।
নিহত মোমেনুল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন খাস দাউদপুর এলাকার আজাহারের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল চাড়ালপাড়া এলাকায় বসবাস করে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকান চালাতেন।
আটককৃতরা হলেন- আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকার মোহাম্মদ নাজমুল (১৮), একই এলাকার আশিকুল ইসলাম আসিফ (২২), দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার মো. আলিফ (১৮) ও একই এলাকার রমজান (২৬), কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ধামগর পূর্বপাড়া এলাকার মো. ইব্রাহিম (৪৮) এবং একজন কিশোর।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় জুলমত আলী মুন্সির ছেলে রুবেল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। রুবেল বিভিন্ন সময় মোমেনকে তার আন্ডারে মাদক ব্যবসা করার জন্য প্রস্তাব দেন। মোমেন তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে শত্রুতা শুরু হয়।
এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে রুবেলের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মোমেনকে বসুন্ধরা এলাকায় পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের মধ্যে নজরুল ও আসিফ নিজে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, রাত ১১টার দিকে বাইপাইল বসুন্ধরা এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে রুবেলের নেতৃত্বে মোমেন নামের একজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে স্থানীয় সোহেল স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা অবনতি হলে রাত আড়াইটার দিকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রুবেল গ্রুপের হত্যায় জড়িত ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। নিহত মোমেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।