শেরপুর সদর উপজেলায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে ওই দিন বিকালে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকায় তার ওপর হামলা হয়।

নিহত জাকারিয়া বাদল (৪৭) সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস পদে ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার ভীমগঞ্জ গ্রামে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকায় মাদ্রাসার সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।  এতে বাদলসহ তিনজন গুরুত্বর আহত হন।  আহত সোহাগ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বাদলের স্বজন রমজান আলী জানান, মঙ্গলবার বিকালে মোটরসাইকেলযোগে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই তিনজন। পথে তাদের মোটরসাইকেল গতিরোধের পর হামলা করেন নুরে আলম ও লুৎফরের অনুসারীরা। ওই তিনজনকে কুপিয়ে সেখান থেকে চলে যান তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এর মধ্যে বাদল ও সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক ওই দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। পরে বাদলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীল কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তিনি আরও বলেন, কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ নেতা নুরে আলমের সঙ্গে বাদলের দ্বন্দ্ব রয়েছে। সম্প্রতি জেলা বিএনপির গ্রুপিং এ দ্বন্দ্ব বাড়িয়েছে। বাদলকে দমন করতে জেলা কারাগারে থাকা নূরে আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন লুৎফর। সেখানেই হামলার পরিকল্পনা করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ওই এলাকায় যৌথবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’