চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি, মূলহোতা ৬ দিন রাজীব ৫ দিনের রিমান্ডে

যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মূলহোতা মো. আলমগীর হোসেন শেখের ছয় দিন ও তার ছোট রাজীব হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আমলি আদালতের বিচারক মোছা. রুমি খাতুন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনার পূর্বধলার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে আলমগীর হোসেনকে ও তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানার ধানসোনা এলাকা থেকে রাজীব হোসেনকে (২১) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সহোদর ভাই। তারা মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার আমতলী গ্রামের খোরশেদ শেখের ছেলে। তাদের হেফাজতে থাকা লুণ্ঠিত টাকা, মোবাইল সেট, গহনা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকালে মো. শহিদুল ইসলাম মুহিত (২৯), মো. সবুজ (৩০) ও মো. শরিফুজ্জামান শরীফকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য এবং গুপ্তচরদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বাস ডাকাতির পরিকল্পনাকারী হলো আলমগীর হোসেন এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড হলো শহিদুল ইসলাম মুহিত।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, রাজীবের হেফাজতে থাকা ১০টি মোবাইল সেট, মহিলা যাত্রীদের ৫ জোড়া চুরি, তিনটি ব্যাগ, তিনটি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি এটিএম কার্ড, বাসের টিকেট এবং ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
বিবরণে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ইউনিক রয়েল আমরি ট্রাভেলস নামক বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। বাসটি ঢাকা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিল।
বাসের যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ডাকাতি ও দুই নারীর শ্লীলতাহানির করে ডাকাত দল।
১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। এ সময় ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় নাটোর আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। ঘটনার তিন দিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে মির্জাপুর থানায় ওমর আলী নামে এক যাত্রী মামলা করেন।