Logo
Logo
×

সারাদেশ

শিশু সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম

Icon

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

শিশু সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দিনদুপুরে শিশু সন্তানের সামনেই বাবা মাসুদ সরদারকে (৩০) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মাসুদ গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের এবাদ আলী মিস্ত্রিপাড়ার মোসলেম সরদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাসুদ রিকশাযোগে তার ৪ বছর বয়সি ছেলে মাহিমকে নিয়ে গোয়ালন্দ বাজার হতে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে লোটাস কলেজিয়েট স্কুলের সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে অটোরিকশাযোগে এসে নাজমুল, কবির, ইমরান রুকুসহ কয়েকজন মাসুদের গতিরোধ করে। এ সময় তারা মাসুদকে রাস্তার ওপর ফেলে তার শিশুসন্তানের সামনেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে।

একপর্যায়ে মাসুদ রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে লোটাস কলেজিয়েট স্কুলের ভেতরে ঢুকে গেলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের সড়ক দিয়ে চলে যায়। প্রকাশ্য দিবালোকে এ হামলার ঘটনা ঘটলেও ভয়ে কেউ দুর্বৃত্তদের কাছে ভিড়তে পারেনি।

পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুদকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। 

মাসুদের শাশুড়ি কুলসুম বেগম জানান, মাসুদ দৌলতদিয়া ঘাটে বাসে যাত্রী উঠানোর কাজ করে। হামলাকারীরাও একই কাজ করে। দুই দিন আগে মাত্র ৫০ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা  নিয়ে হামলাকারীরা মাসুদকে কোপানোর হুমকি দেয়। সেই ঘটনার জের ধরে তারা সত্যিই আজকে মাসুদকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপায়।

মাসুদের ছোট ভাই সাইদুল জানায়, হামলায় তার ভাইয়ের গলার একটি রগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়েছে। বেলা সারে ৪টা পর্যন্ত ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ৫ম ব্যাগ চলছিল। তখনও তার শরীর থেকে রক্ত পরা বন্ধ হয়নি। অবস্থা খুবই খারাপ। রক্তের গ্রুপ বি-পজিটিভ।

তিনি আরও বলেন, তার ভাই নাজমুলের কাছে ৫০ টাকা পেত। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এই সামান্য বিষয় নিয়ে তারা আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছি। 

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আমরা হামলার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম