বিএনপির সদস্যকে গুলি, জেলা আ.লীগ সভাপতিসহ ৪৮৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৫ পিএম

বগুড়ায় গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮৪ নাম উল্লেখ করে ৪৮৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মাহাবুবুর রহমান মাহবুব সোমবার বগুড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহানপুর আমলি আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক আবেদন গ্রহণ করে তা এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য শাজাহানপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহারে লিবিয়া প্রবাসী এক নারীকেও আসামি করা হয়েছে।
থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাসুদ করিম জানান, মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত আদালতের কোনো নির্দেশ আসেনি; এলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম ওমর, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন নেতা মঞ্জুরুল আলম মোহন, টি জামান নিকেতা, রফি নেওয়াজ খান রবিন, একেএম আসাদুর রহমান দুলু, ওবায়দুল হাসান ববি, মাসুদুর রহমান মিলন, সুলতান মাহমুদ খান রনি, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, মাফুজুল ইসলাম রাজ, আবু সুফিয়ান সফিক, মো. নুরুজ্জামান, সোহরাব হোসেন ছান্নু, সজীব সাহা, অসীম কুমার রায়, আল নাহিয়ান জয়, উদয় কুমার বর্মণ, মাহফুজুল আলম জয়, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, আলহাজ্ব শেখ, আরিফুর রহমান আরিফ, আবদুল মতিন সরকার, সাগর কুমার রায়, তরুণ কুমার চক্রবর্তী, আবদুল মান্নান আকন্দ, আনোয়ার হোসেন রানা, অয়ন কান্তি রায় সিটন, আল রাজি জুয়েল, আমিনুল ইসলাম মণ্ডল, মাশরাফী হিরো, শামীমা আকতার সুমি, লিবিয়া প্রবাসী শামিমা আকতার খুশি প্রমুখ।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গত ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা এলাকায় কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন নেতার নির্দেশে অন্য আসামিরা ককটেল, পেট্রলবোমা, গানপাউডার, আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, রামদাসহ শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেন।
এ সময় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাসুদদুর রহমান মিলন ও জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করলে তার (বাদী) পায়ে বিদ্ধ হয়। পরে তিনি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তার বাম পা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়।
বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিস্ট দলীয় পুলিশ থাকায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়েছে।