সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, তদন্ত কমিটি গঠন

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
-67bdba904feae.jpg)
আগুনের ঘটনায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে জারি করা পৃথক নির্দেশনায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানায় জেলা প্রশাসন।
এর আগে সোমবার দুপুরে সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২ রিসোর্টসহ পুড়েছে শতাধিক দোকান, রেস্টুরেন্ট ও বাড়িঘর। এতে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রের। সেখানে হাহাকার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর অবস্থায় রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয়রা বলছে, আগুনে পুড়েছে ৩২ রিসোর্টসহ ৯৪টি স্থাপনা। তবে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের ইমতিয়াজ ইয়াসিনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১২০টি স্থাপনা পুড়ে গেছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান মো. সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, সাজেক পর্যটন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হলো।
পৃথক নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পরবর্তী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সংঘঠিত অগ্নিকান্ডের উৎস ও কারণ উদঘাটনসহ এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে করণীয় সুপারিশ পেশ করতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাঘাইছড়ি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার, রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক, সাজেকের দায়িত্বপ্রাপ্ত দীঘিনালা উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ও বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, এদিন তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। সাজেকে দমকল বাহিনীর কোনো ইউনিট না থাকায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে আগুন নেভাতে যান।
সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. খায়রুল আমিন জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ওইদিন রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আটকে পড়া পর্যটকদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।