চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি হলেও ধর্ষণ হয়নি: এসপি

যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি হলেও ধর্ষণ হয়নি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান। যদিও চলন্ত বাসে ধর্ষণের বিষয়টি এক ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যমকে অবগত করেন।
তিনি জানান, বিশেষ নারীর সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশের একাধিক টিম। বিশেষ নারী বাসে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ধর্ষণের বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ বা তথ্য দিলে পুলিশের পক্ষ থেকে তা দ্রুত তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাসের যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ডাকাতি ও দুই নারীর শ্লীলতাহানি করে ডাকাত দল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। এ সময় ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় নাটোর আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। ঘটনার তিন দিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে মির্জাপুর থানায় ওমর আলী নামে এক যাত্রী মামলা করেন। মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নামে।