Logo
Logo
×

সারাদেশ

কুয়েট সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটির সময় বৃদ্ধি

Icon

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম

কুয়েট সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটির সময় বৃদ্ধি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটির সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. এমএমএ হাসেম।

তিনি বলেন, সংঘর্ষের পরের দিন জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু একাডেমিক ভবনে তালা মারা থাকায় তদন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এবং পরবর্তীতে একাডেমিক বিভাগগুলোর বিভিন্ন রুমে অস্থায়ী ভাবে তদন্ত কার্যক্রম চালানো হয়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা মারা থাকায় সেখানকার অডি-ভিডিও স্মার্ট বোর্ড সম্বলিত কক্ষ থেকে অনলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তারপরও তদন্ত কমিটি নানারূপ প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তদন্ত কাজ চালিয়ে গেছে এবং বিভিন্ন অডিও-ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করেছে। এমন অবস্থায় তদন্ত কাজ আরও চালিয়ে যাওয়ার জন্য সিন্ডিকেট কমিটির সভাপতির কাছে সময় চাইলে সাত কার্যদিবস সময় বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে কিনা এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ছাত্রদল সমর্থিতরা বহিরাগতদের নিয়ে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এ সময় কুয়েটের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এর পরের দিন বুধবার কুয়েটের একাডেমিক ভবনে তালাসহ ৬ দফা দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

ওই দিনই কুয়েটের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ৫টি দাবি মেনে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ভারবহন, তদন্ত কমিটি গঠন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানসহ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েটের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কুয়েটের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের পরিবর্তন চান। এই দাবিতে বুধবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করার পর ধীরে ধীরে হল ছাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া ওই দিনই দুই বাসে ৮০ জন শিক্ষার্থী রোববার ঢাকার শহিদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টার নিকট প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় কুয়েট প্রশাসন অজ্ঞাতনামা আসামি করে খানজাহান আলী থানায় ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৪শ-৫শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে। মামলায় পাঁচজন আটক আছে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রদল ও যুবদলের বহিরাগতরা হামলা করলেও তাদের নাম মামলায় দেওয়া হয়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম