হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক নারীকে হত্যার পর প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টার দায়ে ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ একেএম কামাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার মদনপুর গ্রামের আল আমিন, মায়ানগরের ছদর আলী, উত্তমপুরের তাজউদ্দিন ও স্থানীয় ইংল্যান্ড প্রবাসী মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে সুফি মিয়া।

অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী তপন সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সবাই পলাতক ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার মিজানুর রহমানের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের কাছ থেকে জ্যোৎস্না বেগম নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল চারিনাও গ্রামে। ঘটনার পর মিজানুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন মৃত নারীর ভাই রজব আলী।

কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশের তিন দফা তদন্তে বের হয়ে আসে মিজানুরকে ফাঁসানোর জন্য ইংল্যান্ড প্রবাসী সুফি মিয়া অন্যান্য আসামির সঙ্গে মিলে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে জ্যোৎস্নাকে হত্যা করিয়ে মামলা দায়ের করান। পরে সিআইডি এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত আল আমিন, ছদর আলী, তাজউদ্দিন ও সুফি মিয়াসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এর আগে ছদর আলী ও তাজউদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার ১১ বছর পর আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের মধ্যে ওই চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।