
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ বড় ভাইয়ের

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৮ পিএম

আরও পড়ুন
বরগুনার আমতলীতে ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন এক বড় ভাই। তার দাবি, তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করতে ওই দুই ভাই সন্ত্রাসীদের ভাড়া করেন। ওই সন্ত্রাসীরা তাকে, তার স্ত্রী, মেয়ে ও জামাতাকে কুপিয়ে জখম করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বড় ভাই মফিজ উদ্দিন হাওলাদার সোমবার এমন অভিযোগ
করেছেন। গত বুধবার উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মফিজ জানান, গত বছর উপজেলার তিনি তার পুকুর সেচ দেন। ওই পুকুরের মাছ
ধরে ছোট ভাই মিলন হাওলাদারের পুকুরে রাখেন তিনি। সবশেষ এক বছর ধরে ওই পুকুরেই মাছগুলো
রেখেছেন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে মফিজ ভাইয়ের পুকুরে রাখা মাছ শিকারের চেষ্টা করেন।
এ সময় ছোট দুই ভাই মিলন ও আব্দুর রব এতে বাধা দেয়। এ নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব
হয়। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ছোট দুই ভাই বড় ভাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা
মফিজের ওপর হামলা চালায়। তাকে রক্ষায় স্ত্রী হেলেনা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম
করে।
খবর পেয়ে মফিজের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার বাড়িতে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা
হয়। মেয়ে মাহফুজা ও জামাতা শিবলী শরীফ আসলে তাদেরও সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার পর সন্ত্রাসীরা
চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
করে। এর মধ্যে শিবলী, মাহফুজা ও রিয়াজের অবস্থা
আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মফিজ বলেন, ‘গত বছর ভাইয়ের পুকুরে মাছ রেখে আমি চাষাবাদ করছি। মাছ ধরতে
গেলে দুই ভাই আমাকে বাধা দেয়। এর জেরে তারা আমাকে হত্যা করতে বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া
করেছিল। গত বুধবার বাড়িতে একা পেয়ে সন্ত্রাসীসহ আমার দুই ভাই আমাকে মারধর করেন। আমি
আমার ঘরে আশ্রয় নেয়। পরে আমার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও জামাতাকে কুপিয়ে জখম করে।
মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে ছোট ভাই মিলন হাওলাদার বলেন, ‘বড় ভাই মফিজ
আমার পুকুরে গত একবছর ধরে মাছ চাষাবাদ করছেন।
এ নিয়ে আমাদের মাঝে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
আমার বড় ভাই আমাকে মারধর করেছে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদ মাহমুদ
রোকনুজ্জামান বলেন, ‘বুধবার পাঁচজনকে আনা হয়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুত্বর দেখে
তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ’
এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘এ নিয়ে থানায় কেউ
অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’