হাত বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় শেয়াল, আগুনে ঝলসানো সেই নারীর পরিচয় মিলেছে

রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১ পিএম

রংপুরের বদরগঞ্জে ভুট্টাখেত থেকে দগ্ধ ও হাত বিচ্ছিন্ন নারীর লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কারীরঘাট এলাকার ব্রাহ্মণপাড়া সংলগ্ন একটি ভুট্টাখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের মুখ ও শরীর আগুনে ঝলসে দেয়ায় চেহারা বিকৃত ছিল। তার একটি হাত ক্ষুধার্ত শেয়ালে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায়। তাই তাকে চেনা যাচ্ছিল না।
হতভাগ্য ওই নারীর নাম শান্তনা বেগম (৩০)। তার বাবা আলমগীর হোসেন, বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচণ্ডী ইউনিয়নের কইফুলকি গ্রামে।
এ ঘটনায় ওই নারীর মা ফরিদা বেগম রোববার বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাশেদুল ইসলাম (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছেন।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের সিআইডি টিম তার হাতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে তার নাম পরিচয় জানতে পারে। পরে তার বৈবাহিক সম্পর্ক ও বিস্তারিত তথ্য জানা যায় পুলিশের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্তকরণের পর। শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত হন পুলিশের তদন্ত দল।
রোববার বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান এটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুনের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে তার বিয়ে হয় বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের মৌয়াগাছ এলাকার স্কুলপাড়ার আবুজারের ছেলে মোহাম্মদ আলীর (৩৫) সঙ্গে। তাদের দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ আলী আরেকটি বিয়ে করে ওই স্ত্রী নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে থাকেন। আর শান্তনা বেগম সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে এক বান্ধবীসহ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। গত বুধবার শান্তনা বিকালে সন্তানকে বান্ধবীর কাছে রেখে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তার লাশ মেলে ভুট্টাখেতে।