Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্বামীকে হত্যা করে লাশের পাশেই বসে ছিলেন বিমর্ষ স্ত্রী

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ পিএম

স্বামীকে হত্যা করে লাশের পাশেই বসে ছিলেন বিমর্ষ স্ত্রী

চট্টগ্রামে চতুর্থ স্ত্রীকে না জানিয়ে পঞ্চম বিয়ে করায় আলাউদ্দিন (৩৭) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্ত্রী। হত্যার পর লাশের পাশেই বসে ছিলেন বিমর্ষ স্ত্রী।

শনিবার রাতে হালিশহর থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নৃশংসভাবে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহতের ঘাতক চতুর্থ স্ত্রী নূরজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলাউদ্দিন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুরী থানার মতি আলম বাজার মইন উদ্দিনের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই নূর উদ্দিন বাদী হয়ে হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় নূরজাহানকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। আলাউদ্দিন পেশায় একজন রিকশাচালক ও দিনমজুর।

পুলিশ জানায়, স্বামী আলাউদ্দিনের সঙ্গে নগরীর হালিশহরের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন নূরজাহান। আলাউদ্দিন আগে তিনটি বিয়ে করেন। কয়েক বছর আগে নূরজাহানকে বিয়ে করেন। অর্থাৎ নুরজাহান আলাউদ্দিনের চতুর্থ স্ত্রী। তালাক না হলেও আগের তিন স্ত্রীর সঙ্গে আলাউদ্দিনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। কয়েক দিন ধরে এলাকায় চাউর হয় নগরীর বাকলিয়া এলাকায় আলাউদ্দিন গোপনে ৫ম বিয়ে করেছেন।

এই ‘গোপন বিয়ে’ নিয়ে দুজনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। কয়েক দিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। তাকে না জানিয়ে এভাবে চতুর্থ বিয়ে করায় ক্ষুব্ধ হন নূরজাহান। এর জের ধরে শনিবার রাত ২টার দিকে বাসার মধ্যেই ধারালো দা দিয়ে স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে নূরজাহান। স্বামীকে হত্যার পর লাশের পাশেই বসেছিলেন নূরজাহান। আশপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে যায় হালিশহর থানা পুলিশ।

রক্তাক্ত লাশের পাশে বসে থাকা নূরজাহান অকপটে পুলিশের কাছে তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে তার কারণ জানান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা ছোরাও জব্দ করা হয়। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রোববার দুপুরে নিহতের বড় ভাই নূরউদ্দিন বাদী হয়ে নূরজাহানকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, গোপনে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকেই ঘাতক নূরজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা দা উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার চতুর্থ স্ত্রীকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম