রাঙামাটিতে মিলল ছাত্রলীগের টর্চার সেল

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
-67bb19a5c11bd.jpg)
এবার রাঙামাটিতে সন্ধান মিলেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একটি টর্চার সেলের। ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শহরের আলম ডকইয়ার্ড নামক আবাসিক এলাকার ৬ তলাবিশিষ্ট একটি ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে আয়নাঘরের আদলে এ টর্চার সেলের খোঁজ মেলে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী মো. ইলিয়াস করিম, মো. জাহাঙ্গীর, নুরুন্নবী, রবিউল হোসেন, বদিউল আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে ওই এলাকায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ ছিলেন স্থানীয়রা। সেই সময় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেননি।
তারা জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি পিকআপ ভ্যানচালক হাবিবুর রহমান বাপ্পীর নেতৃত্বে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কায়সার, মো. রাব্বী ও মো. রাকিবসহ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য অমানুষিক নির্যাতন চালাতো ওই টর্চার সেলে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, ছাত্রলীগ নেতারা ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন জনের কাছে দাবি করা মোটা অঙ্কের চাঁদার টাকা না পেলে ওই টর্চার সেলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালাতো। এতে চাঁদা দিতে বাধ্য হতেন ভুক্তভোগীদের স্বজনরা। পণ পরিশোধ করলেই মুক্তি মিলতো ভুক্তভোগীদের।
রাঙামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মেদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে রাঙামাটিতেও অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে সন্ত্রাসীসহ অপকর্মে জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এছাড়া অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজরা যাতে এলাকায় ত্রাস ও অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোরালো তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।