রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম

পাঁচদফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। রোববার দুপুর ১২টা থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। এর ফলে হাসপাতালটিতে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেলের শিক্ষার্থীরাও। দুপুরে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কলেজের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করলে একাত্মতা ঘোষণা করে তাতে তারাও অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচি ছাড়াও একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
এমবিবিএস কিংবা বিডিএস ডিগ্রী ব্যতিত কেউ নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার না করা, বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন করা, এমটিএস ও নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবিতে তাদের এই কর্মসূচি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখা হবে। কর্মসূচিতে রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এটিএম আখেরুজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ডা. ইফতেখার রসুল শিমুলসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
এদিকে হাসপাতালের রোগীরা বলছেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসক নেই, আবার সিনিয়র ডাক্তারও পাওয়া যাচ্ছে না। এতে যে কোনো সমস্যা হলে তারা পরামর্শ পাচ্ছেন না।
রোগীর স্বজনদের ভাষ্য, ‘চিকিৎসকেরা আন্দোলন করবেন আলোচনার টেবিলে। হাসপাতালে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এমন কর্মসূচিতে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়।’
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘হাসপাতালে ৬০টি ওয়ার্ড। ইন্টার্ন চিকিৎসক ২৪০ জন। তারা না থাকার কারণে মিড লেভেলের ডাক্তার ও বেসরকারি অনারারি মেডিকেল অফিসারদের দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সমস্যা তেমন হচ্ছে না।’