রংপুরে মাহমুদুর রহমান
জুলাই বিপ্লব ও শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে গবেষণার আহ্বান

রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪২ এএম

ছবি: সংগৃহীত
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে আবু সাঈদসহ সকল শহীদদের নিয়ে গবেষণা উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, আবু সাঈদের আইকনিক দৃশ্য পুরো বাংলাদেশের মানুষে হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে।
শনিবার বিকেলে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা স্মারক মাঠে পাঁচদিনব্যাপী বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
বেরোবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী, বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম, স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের চেয়ারম্যান কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান বলেন, আবু সাঈদ ১৬ জুলাই পুলিশ ও খুনি হাসিনাকে চোখ রাঙিয়ে রাস্তায় নেমেছে। সকল ছাত্ররা রাস্তায় নেমে নেতৃত্ব দিয়েছে। হাসিনার ফ্যাসিবাদ ভারতের হেজিমনি পরাজিত হয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে।
আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হোক যেখানে বৈষম্য থাকবে না গণতন্ত্র ও মানবাধিকার থাকবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার পরিস্থিতি তৈরি করেছেন আবু সাঈদ। জুলাই বিপ্লবে আমরা ৩৬ দিনে দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন বাঁকের মধ্য দিয়ে বিপ্লব এগিয়ে গেছে। সেই বাঁকের মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিল আবু সাঈদ। যেটা ১৬ জুলাই আবু সাঈদ দুই হাত তুলে পুলিশের সামনে বুক চিড়িয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ জীবন দিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মাস্টার মাইন্ড কেউ নাই। যারা আন্দোলন করেছে তারাই মাস্টার মাইন্ড। যে দল বা ব্যক্তি মাস্টারমাইন্ড সৃষ্টি করতে যাবে তাদের মুজিববাদের মতো পালিয়ে যেতে হবে ও তাদের মন্দির ভেঙ্গে দেয়া হবে।
এর আগে শনিবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশাহ ওসমানী, কোষাধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম রিপন, আমার দেশ স্টাফ রিপোর্টার মেজবাহুল হিমেল ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষে থেকে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি গাইল দুটি এ্যালবাম বেরোবিকে হস্তান্তর করেন। বইমেলার প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করেন শহীদ আবু সায়ীদের বাবা মকবুল হোসেন ও শহীদ ফেলানি খাতুনের বাবা নূর ইসলাম। বইমেলায় ৪০টি স্টল অংশ করে। বইমেলায় আলোচনা সভা, লেখক-পাঠক আড্ডা, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো। শেষ দিনে বইমেলায় উপচে পড় ভিড় ছিলো। মাহমুদুর রহমানের বক্তব্যের সময় বেরোবি শিক্ষক, শিক্ষার্থীর মনোযোগ দিয়ে তার বক্তৃতা শুনেন।