সড়ক দখল করে দোকান ও স’মিল, কাজে আসছে না ৫ কোটি টাকার সেতু

কালকিনি-ডাসার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম

পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় সেতুটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সময়মতো কাজও শেষ করে। কিন্তু সেতুর একপাশের রাস্তা দখল করে তৈরি করা হয়েছে দোকান ও স’ মিল। এর দরুণ সেতুর এক পাশের সড়ক নির্মাণ করা যায়নি। এতে করে দুর্ভোগে পাঁচ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দা। ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে উঠতে হচ্ছে সেতুটিতে। ঘটনাটি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের।
লক্ষিপুর ইউনিয়নের সাত ও আট নম্বর ওর্য়াডের মাঝামাঝি অবস্থায় থাকা সূর্যমনি
বাজরের দক্ষিণ পাশে খালের ওপর অবস্থান সেতুটি।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য ও
সাত দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০২২ সালে ১৯ জানুয়ারি। পাঁচ কোটি
ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ/ম হামিম ইন্টারন্যাশনাল। নির্ধারিত
সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুটির উত্তর-পূর্ব পাড়ে বাজারের পাশের
অংশের সংযোগ সড়কের ওপরে গাছ কাটার স মিল ও দোকান থাকায় সংযোগ সড়কটি করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সূর্যমনি বাজারে ব্রীজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে
রায়পুর, ভাটিবালি, চরলক্ষ্মী, চরভাটা বলি, সস্তালসহ পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিদিন
এ সেতু পার হয়ে জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়াও পাঁচ গ্রামের
ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি পণ্যসহ প্রয়োজনীয় অনান্য মালামাল নিতে এ সেতু ব্যবহার করতে
হয়। এ পাঁচটি গ্রাম চর অঞ্চলে হওয়ায় নেই কোনো নাগরিক সুবিধাও। স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষাসহ
সকল প্রয়োজনেই প্রতিনিয়ত জেলা উপজেলায় যাতায়াত করতে হয় তাদের।
সূর্যমনি বাজারের সিনিয়র সহসভাপতি হাসান মুন্সী বলেন, ‘পাঁচ কোটি টাকার
এই ব্রিজটির কাজ শুরু হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ স্বপ্ন বাধে। কিন্তু ব্রিজের একপাশে
এখনো সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ব্রিজের কোনো সুবিধাই আমরা ভোগ করতে পারছি না। বাঁশের সাঁকো
দিয়ে ব্রিজে উঠতে হচ্ছে। ২-৩ মাস অন্তর অন্তর সাঁকো মেরামত করতে হয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে
জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত সংযোগ সড়ক হয়ে যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘নবনির্মিত
সেতুটি জনগণের চলাচলের উপযোগী করা হবে। রাস্তার উপরে থাকা স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা
অপসারণ করা হবে।’