যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের জের
কুমিল্লায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্ট্যান্ড রিলিজ

কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০১ পিএম
-67b8a3bc6aa0d.jpg)
কুমিল্লায় দুর্নীতির অভিযোগে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। যুগান্তরে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করার পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্ট্যান্ড রিলিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কার্যালয়টির সিনিয়র অফিস সহকারী কামরুন নাহার।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে অনিয়ম’ ‘ডিডি ইমরুলের উৎকোচ রাজত্ব’ শিরোনামে যুগান্তরের তৃতীয় পাতায় সিরিজ প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়। ওই দিন বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে বিকালে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি গোপন রাখে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চিঠিটি বৃহস্পতিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন মো. আবদুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কুমিল্লার ইমরুলকে প্রধান কার্যালয় ঢাকায় সংযুক্ত করা হলো। সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত হিসেবে কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে জনস্বার্থে আদেশ জারি করা হলো।
১৯ ফেব্রুয়ারি দৈনিক যুগান্তরের তৃতীয় পাতায় ‘পণ্যাগার থেকে বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন মদ’ শিরোনামে সিরিজের দ্বিতীয় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইমরুলসহ সংশ্লিষ্টদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যায়।
কুমিল্লার সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় কর্মরত থেকে এ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে যথাযথভাবে তদন্ত করা দরকার। আমরা মনে করি, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করলে সমাজ মাদকমুক্ত হবে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়েও তদন্ত করা দরকার।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী রোববার থেকে আমি কুমিল্লা কার্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করব।