পিটিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়ার ৪ দিন পর ভাসল জেলের লাশ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবৈধভাবে বালু তুলতে বাধা দেওয়ার জেরে পিটিয়ে সাগরের পানিতে ফেলে দেওয়ার চার দিন পর রাম জলদাস (৩২) নামে এক জেলের লাশ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে লাশটি সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত এলাকায় ভেসে আসে।
হত্যার শিকার রাম উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামের জেলে পাড়া মৃত শীতল জলদাসের ছেলে।
কুমিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে রামের লাশ। ভাটায় পানি নেমে গেলে কাদামাটিতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় জেলেরা। পরে রামের স্বজনদের খবর দেন। স্বজনদের কাছে খবর পেয়ে নৌপুলিশের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ছোট ভাই লিটন জলদাসকে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যান রাম। এ সময় তাদের জালের খুব কাছ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলে বাল্কহেড (বালুবাহী নৌযান) ভর্তি করছিলেন কিছু লোক। এতে বাল্কহেডের প্রপেলারে জেলেদের একটি জাল পেঁচিয়ে যায়। জালটি কাটার সময় প্রতিবাদ করেন রাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাম জলদাসের মাথায় আঘাত করে বালু উত্তোলনকারীরা। পরে পিটিয়ে তাকে সাগরের পানিতে ফেলে দেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
ওই সময় রামকে সাগরে ফেলে দেওয়ার পর তার ছোট ভাই লিটনকে অপহরণ করে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানঘাট নিয়ে যায় তারা। পরে নৌপুলিশের সদস্যরা লিটন জলদাসকে উদ্ধার করেন। পরে গাউসিয়া কমিটির সহযোগিতায় নৌপুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় রামের স্ত্রী কণিকা জলদাস একটি হত্যা ও অপহরণের মামলা করেছেন। মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে নৌপুলিশ।