কলা গাছের অস্থায়ী শহীদ মিনারে ২১ বছর পার

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

‘এসব লিখলে কী হবে। সরকার কি শুনবে। ২১ বছর যাবৎ আমরা কলা গাছ, বাশঁ দিয়ে তৈরি করে শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই।’ এভাবেই আপেক্ষ করে কথাগুলো বলছিলেন নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান কুঠুরিকোনা মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান।
হাওরাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত কুঠুরিকোনা মডেল হাই স্কুল। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত
হওয়া স্কুলটি ২০১৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়। স্কুলটিতে বর্তমানে ৩৫০ শিক্ষার্থী পড়ালেখা
করছে। অর্থের অভাবে নির্মাণের ২১ বছর পরও এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন
করা যায়নি। আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার
বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
স্কুলিটর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহানাজ, লামিয়া, রিয়া মনি বলেন,
‘শহীদ মিনার নেই তাতে কি। তাই বলে কি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করব না। আমরা
প্রতি বছর এভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দেয়।’
স্কুলটির সহকারি প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘টাকার অভাবে প্রতিষ্ঠানে
স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বার আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে
কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।’
স্কুলটির জ্যৈষ্ঠ সহকারী শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শহীদ মিনার নেই।
তাই একুশে ফেব্রুয়ারীর আগের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছের শহীদ মিনার বানানো হয়। তাতে
কাগজ মুড়িয়ে সুন্দর করা হয়।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, ‘যে সকল বিদ্যালয়ে
শহীদ মিনার নেই, সে সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের বলেছি ইউএনও স্যার বরাবর আবেদন
করতে।’ ইউএনও অহনা জিন্নাত বলেন, ‘যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তাদের তালিকা চেয়েছি।
এবারই বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়া হবে।’