৪ মাস পরও মেরামত হয়নি বন্যায় বিধ্বস্ত সড়ক

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১০ পিএম

পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় বিধ্বস্ত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী উত্তরবন্দ এলাকায় নন্নী-বারোমারী দুই লেনের সড়কটি চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো মেরামত হয়নি। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়ক ব্যবহারকারীরা। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে চলাচল করছে ছোট, মাঝারি ও ভারিসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। এর জেরে সড়ক ব্যবহারকারীদের গুনতে হচ্ছে অনেক বেশি ভাড়া।
গত ৫ অক্টোবর স্মরণকালের পাহাড়ি ঢলের বন্যার মুখোমুখি হয় সীমান্তবর্তী
জেলা শেরপুর। ওই বন্যার ভয়াবহ পানির তোড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী-বারোমারী
সড়ক। এতে দুই লেন সড়কের দুটি স্থানে বড় আকারে ভাঙনসহ সড়কের দুপাশে কমপক্ষে ৩০০ মিটার
ভেঙে যায়। নন্নী উত্তরবন্দ এলাকার দুটি স্থানে সড়কটি এতোটাই গভীর হয়েছে যে সেখানে তৈরি
করতে হয়েছে বাঁশের সাঁকো। রাস্তর দুটি অংশে ৬৫ মিটার দীর্ঘ গভীর খাদ ছাড়াও প্রায় এক
কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার দুপাশ ধসে খাদে পরিণত হয়েছে।
এদিকে সড়কের এই বেহাল দশায় নাকুগাঁও স্থলবন্দর, বারোমারী মিশন, বারোমারী
বাজার, নন্নী উচ্চ বিদ্যালয়, নন্নী পোঁড়াগাও মৈত্রী কলেজ, নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ, নন্নী
উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের। সড়কটি বিধ্বস্ত হওয়ার চার মাস পেরিয়ে গেলেও মেরামত করা হয়নি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে তৈরি করেনি বিকল্প কোনো ব্যবস্থা।
স্থানীয় শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার, কৃষক ইউসূফ আলী, পথচারী তসলিম উদ্দিন,
মিজান আলী ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক হারেজ আলী বলেন, রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় আমাদের
যাতায়াত খুব সমস্যা হচ্ছে। বার বার অটোরিকশা পরিবর্তন করে চলাচল করায় ভাড়াও বেশি লাগছে।
সন্ধ্যা হয়ে গেলে গাড়িও পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম
বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একাধিকবার বিধ্বস্ত সড়কটি পরিদর্শন
করা হয়েছে। সেখানে কালভার্ট নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী ডিজাইন
পাঠিয়েছে তারা। আমরা ডিজাইন অনুযায়ী নতুন করে ইস্টিমেট করেছি। কালভার্ট টেন্ডারের জন্য
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে পাঠানো হয়েছে। কালভার্ট নির্মাণ ও রাস্তা মেরামত করে যোগাযোগ
ব্যবস্থা পুণঃস্থাপন করা হবে।