মামলার সাক্ষী হওয়ায় জামায়াত নেতার পা ভেঙে দিল চাঁদাবাজরা

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১০ পিএম

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে প্রশাসনের মামলার সাক্ষী হওয়ায় ইউনুস মিয়া সুমন (৪৮) নামে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার পা ভেঙে দিয়েছে বেলাল ড্রাইভারসহ কয়েকজন চাঁদাবাজ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাগান বাজারের শিকদারখিল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা ইউনুসকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী মিরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাটস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।
মোহাম্মদ বেলাল ড্রাইভার (৫৪) গত ১৬ জানুয়ারি বাগান বাজার এলাকায় বালিরগাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে উপজেলার নির্বাহী হাকিম পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত হয়ে এক মাস কারাভোগ করেন। এ মামলায় সাক্ষী হওয়ায় ইউনুসের ওপর ক্ষুব্ধ হন।
বেলাল ইউনিয়নের শিকদারখিলের সমিতি রোড়ের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মো. ইউনুস মিয়া সুমন বলেন, দুপুরে ভূজপুর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শিকদারখিল এলাকায় পৌঁছলে চাঁদাবাজ বেলাল ড্রাইভার ও তার সঙ্গে থাকা ৫-৬ জন আমার গতিরোধ করেন। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেদিন কেন মামলার সাক্ষী হয়েছি তা জানতে চান। একপর্যায়ে তারা সবাই আমার ওপর হামলে পড়েন। পরে সবাই মিলে আমার বাম পা ভেঙে দেন।
বাগান বাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামুল হক বাবু বলেন, এখানে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি করতে পারেন না। চাঁদাবাজদের জায়গা বিএনপিতে নেই। যারাই এ ঘটনা করুক তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে ভূজপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুমন মেম্বার প্রশাসনের অনুরোধে মামলার সাক্ষী হয়েছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আসামির দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
ভূজপুর থানার ওসি মাহবুবুল হক বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ইউনুসের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।