মারধরের বিচার দাবিতে যাত্রীবাহী লঞ্চ আটকে দেয় আইএইচটি শিক্ষার্থীরা

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০১ পিএম

বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ১০ শিক্ষার্থীকে লঞ্চ কর্মচারীদের মারধরের ঘটনার জেরে ঢাকা-বরিশাল রুটের যাত্রীবাহী এমভি শুভরাজ লঞ্চের যাত্রা আটকে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকাল ৫টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী বরিশাল নৌবন্দরে জড়ো হয়ে লঞ্চ আটকে যাত্রীদের উঠতে বাধা দেয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। এ সময় মারধরে জড়িত কর্মচারীদের বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৮টা) লঞ্চটি বন্দরে অবরুদ্ধ ছিল।
আইএইচটি শিক্ষার্থী জাকির হোসেন আকাশ বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় শুভরাজ লঞ্চের কর্মচারীরা টিকিটের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাবি করে। এ বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আমাদের ৯-১০ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। সেই ঘটনার বিচার দাবিতে লঞ্চ আটকে দেওয়া হয়েছে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত লঞ্চ বন্দর ত্যাগ করবে না বলে জানান তিনি।
ঢাকাগামী যাত্রী হৃদয় হাওলাদার বলেন, মালিকদের রোটেশন প্রথার কারণে যাত্রী চাপ থাকলেও মাত্র দুটি লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে আছে। এর মধ্যে শুভরাজ লঞ্চটির যাত্রা আটকে দেয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছি।
বরিশাল সদর নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার রাত সাড়ে ৭টায় বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার বিচার চেয়ে লঞ্চের যাত্রা আটকে দিয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে মিটিংয়ে আছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।