নলছিটিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ

নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

ঝালকাঠির নলছিটিতে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন উপজেলার শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ইমন।
বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শিক্ষকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগে করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে বুধবার থেকে ওই শিক্ষককে শ্রেণিতে পাঠদানসহ বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করে- শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ইমন দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে অশালীন ও অশোভন আচরণ করছেন। তিনি ছাত্রীদের শারীরিক গঠন নিয়ে নানা অশালীন মন্তব্য ও কটূক্তি করেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাদের শরীর স্পর্শ করেন, শারীরিক বিষয় নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। সহপাঠী ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে খেলাধুলা করলে তিনি নোংরা মন্তব্য করেন এবং সহপাঠীদের সামনে তাদের অপমান করেন। শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের এ ধরনের হয়রানির অবসান চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেছে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১২ জন শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৮ সালে সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ইমনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। নতুন করে একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। আমরা একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ কামনা করি না। অনতিবিলম্বে অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় তারা।
অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ইমন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নান্নু মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়েছি। অন্য শিক্ষকদের নিয়ে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শ্রেণিতে পাঠদানসহ বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমে প্রাথমিকভাবে বিরত রাখা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. আনোয়ার আজিম জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শ্রেণিতে পাঠদানসহ বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমে প্রাথমিকভাবে বিরত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদনসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।