সাভারে শ্রমিকদের পেটানোর অভিযোগে ৩ কর্মকর্তা আটক

যুগান্তর প্রতিবেদন, ঢাকা উত্তর
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২২ পিএম

সাভারের আশুলিয়ায় কারখানার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বকেয়া বেতন চাওয়ায় ৩ জন শ্রমিক নেতাকে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা শ্রমিকদের মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরে সেনাবাহিনী খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন এবং এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। আটকরা হলো- কারখানাটির ডিরেক্টর আরাফাত জান, পিএম মাসুদ রানা ও অ্যাডমিন ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম।
আহত ৩ শ্রমিক নেতাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এরা হলেন- কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাইম শিকদার ও জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ আশুলিয়া কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম মৃধা। আহতরা হলেন- মাদারল্যান্ড গার্মেন্টসের ওয়ার্কার।
বুধবার দুপুরে আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল্লাহ আকন্দ। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো বড় রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় প্লাটিনাম ক্রিয়েশন অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেড নামে একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জানান, প্লাটিনাম ক্রিয়েশন অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেড কারখানা থেকে ২ মাসের বেতনসহ পাওনাদি না দিয়েই ৪৫ জন শ্রমিক ছাঁটাই করেন। তারা ফেডারেশনে অভিযোগ করলে সংগঠনের নেতারা কারখানায় আসার কথা জানায়। এরপরে কারখানার কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন দিবে বলে ডেকে ভিতরে নিয়ে নিয়ে গেট লাগিয়ে দেয়। মালিকপক্ষের লোকজন ও তাদের ভাড়া করা বহিরাগত সন্ত্রাসীরা লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে শ্রমিকদের ওপর মারপিট করে।
অন্যদিকে ফেডারেশনের নেতাদেরও বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় শ্রমিক নেতাসহ তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এসে তাদেরকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল্লাহ আকন্দ বলেন, ৩ জনকে সেনাবাহিনী আমার কাছে হস্তান্তর করেন। অভিযোগকারী থানায় অভিযোগ করার পরে মামলা এফআইআর হয়েছে এবং বুধবার তাদের কোর্টে চালান করা হয়েছে।