Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিছানায় লেপের নিচে স্ত্রীর লাশ, আড়ায় ঝুলছিলেন স্বামী

Icon

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম

বিছানায় লেপের নিচে স্ত্রীর লাশ, আড়ায় ঝুলছিলেন স্বামী

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা পুলিশ নিজের ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে। নিজ ঘরের বিছানায় লেপের নিচে মাথা ঢাকা অবস্থায় ছিল স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের মৃতদেহ (৬৫)। আর পাশেই ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিলেন স্বামী ফরিদ উদ্দীন (৭৫)।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাহিরচর ইউনিয়নের ফারাকপুর গোরস্থান পাড়াসংলগ্ন বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দীনের মূল বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে। সেখানে প্রথম স্ত্রী, ছেলেমেয়ে রয়েছে। ভেড়ামারায় দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন। তারা দুজনেই দিনমজুরের কাজ করে জীবিকানির্বাহ করতেন। বাড়ির পাশেই বসবাস করেন স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের প্রথম পক্ষের ছেলেরা।

বুধবার সকালে নিহতের নাতি দাদা-দাদির বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে। এ সময় কেউ কোনো আওয়াজ বা সাড়াশব্দ না করলে বাড়ির অন্য সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় ঘরের ফাঁক দিয়ে ঝুলন্ত একটি মৃতদেহ দেখা যায়। পরে ভেড়ামারা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের পুত্রবধূ জানিয়েছেন, তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি আলাদাভাবেই বসবাস করতেন। উল্লেখ করার মতো কোনো পারিবারিক কলহ তাদের ছিল না। তবে কী কারণে, কারা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বা কেন তারা আত্মহত্যা করতে যাবেন, তার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।

ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, টিনের ঘরটি ভেতর থেকেই লক করা ছিল। বিছানায় লেপ দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় নিহত রাবেয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল মৃত ফরিদ উদ্দীনের লাশ। হত্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যেতে পারে- স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে। দুটো লাশই ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম