কুয়েটে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ, জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০২ পিএম

ফাইল ছবি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ থাকবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভায় ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পূর্বের ঘোষণা কঠোরভাবে অনুসরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও মঙ্গলবারের হামলার ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে সরাসরি জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে।
এছাড়া সভায় মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত দোষী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া পালটাপালটি ধাওয়া বিকাল পর্যন্ত চলে। এ ঘটনায় অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে কুয়েটের ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সংগঠনের নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ফরম বিতরণ শুরু করেন। এ খবরে শিক্ষার্থীরা দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় তারা ‘ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের মিছিলটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এলে ছাত্রদল সমর্থিতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ক্যাম্পাসের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় ছাত্রদলের সঙ্গে বহিরাগতরা ছিল। পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে মঙ্গলবারের সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। রামদা হাতে তার দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।