Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাদক কারবারির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা এএসআই!

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম

মাদক কারবারির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা এএসআই!

রাজশাহীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের এক এএসআইয়ের পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই এএসআইয়ের দাবি, কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন তিনি। তবে ওই নারীর স্বামীর দাবি, তার স্ত্রী তাকে তালাক দেয়নি।

মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর ঘর থেকে পুলিশের সদস্যকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে মারধর করা হয়। গভীর রাতে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। বুধবার দুপুর পর্যন্ত নগরীর মতিহার থানার হেফাজতে ছিলেন পুলিশের ওই সদস্য। পুলিশ সদস্য ও ওই নারীর একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে।

অভিযুক্ত ওই এএসআইয়ের নাম সোহেল রানা। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে নগরীর সাতবাড়িয়া মহল্লার ওই নারীর ঘরে যান ওই এএসআই। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ঘরের দরজা আটকে দেয়। পরে দুজনকে ঘর থেকে বের করে মারধর করে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা ওই নারী ও এএসআইকে জেরা করছেন। জেরার ফাঁকে ফাঁকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন। ওই নারীকে এ সময় বলতে দেখা যায়, প্রচুর মেরেছে, প্রচুর। আর এএসআই সোহেল রানাকে বলতে দেখা যায়, আমি কালেমা পড়ে বিয়ে করেছি।

জেরার মুখে সোহেল জানান, তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। এই নারীকে তিনি কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন। তবে ঘরে উপস্থিত ওই নারীর স্বামী বলতে থাকেন, স্ত্রীর সঙ্গে আমার বিচ্ছেদই হয়নি। তখন ওই নারী বলতে থাকেন, স্বামীকে আমি মুখে মুখে তালাক দিয়েছি।

এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, ঘটনাস্থল মতিহার থানা এলাকায়। এএসআই সোহেল রানা মতিহার থানায় আছে। বিস্তারিত পরে বলব।

মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক বলেন, সোহেল রানা থানা হেফাজতে আছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ধরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

তবে ওই নারীর সঙ্গে এএসআইয়ের বিয়ে কিংবা বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক নিয়ে ওসি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ওই নারীর স্বামী মাদক কারবারি। তার বাড়ি ডাসমারি মধ্যপাড়ায়। তিনি মাদক মামলায় বছর দেড়েক জেলে ছিলেন। এ সময়ে ওই নারী বাবার বাড়ি চলে যান। স্বামী জামিনে বের হলেও তিনি তার বাড়ি আসছিলেন না।

আবদুল মালেক আরও বলেন, ওই নারীর স্বামী যখন জেলে ছিলেন তখন এএসআই সোহেল তিনটি অটোরিকশা কিনেন। অটোরিকশাগুলো সোহেলের পূর্বপরিচিত ওই নারীর তত্ত্বাবধানে রেখেছিল। ওই নারীর ভাই এবং অন্য চালকেরা অটোরিকশাগুলো চালায়। মাঝে মাঝে ওই নারীর কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নিয়ে আসতেন সোহেল। মঙ্গলবার রাতেও তিনি ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েছিলেন। তখন ওই নারীর স্বামী স্থানীয় কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আসলেই কি ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম