Logo
Logo
×

সারাদেশ

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বাড়িতে দুই দফায় হামলা

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বাড়িতে দুই দফায় হামলা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফেসবুকে লাইভ করায় উপজেলা বিএনপির এক নেতার বাড়িতে দুই দফায় হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ির আসবাব। ভুক্তভোগী বিএনপিনেতার অভিযোগ, দলীয় প্রতিপক্ষরাই এ হামলায় জড়িত।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কুরি পাড়ার শ্মশান রোডের উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মফিজুর রহমান দিপুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

দিপুর স্ত্রী পারভীন আক্তার নোয়াখালী জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। এ দম্পতির বড় ছেলে দাউদ উর রহমান ফারহান বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব। ছোট ছেলে মাসুদুর রহমান প্রাহিম চৌমুহনী কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৮টার দিকে ছাত্রদল নেতা ফারহান সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে লাইভ করেন। এ সময় চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও ১/১১ এর আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে কথা বলেন তিনি।

হামলার শিকার বিএনপিনেতা দিপু বলেন, ছেলের ফেসবুক লাইভের জেরে  উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস আমাকে  কল দেয়। একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে বলে তোর ছেলেকে ফেসবুক লাইভ মুছে ফেলতে বল। না হলে তোর পরিবারকে শেষ করে দেব। তোর ছেলে আমাদের ইঙ্গিত করে কথা বলছে। হুমকির পরেরদিন গত সোমবার রাত ১০টার দিকে একদল অস্ত্রধারী আমার বাড়িতে হামলা করার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দিলে তারা আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আমার ছেলে বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ফেসবুক লাইভের জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী আব্দুল (৪২), তার ভাই জাহাঙ্গীর (৩৫) ও সোহাগের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্রধারী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমার বসতঘরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ও টিনের বেড়া ভেঙে তছনছ করে দেয়। আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।

ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর বাবুলের ছেলে যুবদল নেতা সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাজন, সাইফুল ও কায়েসের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন অস্ত্রধারী দ্বিতীয় দফায় আমাদের বসতঘরে হামলা চালায়। এ সময় আমাদের দেখতে আসা ছয়জন ছাত্রদলকর্মী ও দুই প্রতিবেশী নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আটটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আমার গলার চেইন ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করে এ নারী বলেন, পুলিশ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে।

অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস বলেন, হামলার বিষয়টি আমিও শুনেছি। ফারহান মাদক সেবন করে, এ নিয়ে কার কার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে আমি জানি না। অসামাজিক কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি ও নেশার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বাবা-মাও আমাদের দল করে। আমি কাউকে মুঠোফোনে হুমকি দেয়নি। আমার নির্দেশে কোনো হামলা হয়নি।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, এটা মনে হয় তাদের দলীয় কোন্দল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  

Jamuna Electronics

img img
Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম