Logo
Logo
×

সারাদেশ

ক্যানসার আক্রান্ত মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন ছেলে

Icon

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম

ক্যানসার আক্রান্ত মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন ছেলে

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পুরান বন্দর মোল্লাবাড়ি এলাকায় ক্যানসার আক্রান্ত মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলের বিরুদ্ধে।

বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া মা পিয়ারা বেগম এখন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু পথযাত্রী বলে জানা গেছে।

পিয়ারা বেগম জানান, ছেলে জহিরুল ইসলামকে তিনি বিষয় সম্পত্তি লিখে দেন। এরপর ছেলে ও ছেলের বউ কাকলী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তারা বলে- তার ক্যানসার হয়েছে তিনি বাড়িতে থাকলে এ রোগ তাদেরও হবে। এরপর পিয়ারা বেগম তার মেয়ের বাসা নবীগঞ্জে আশ্রয় নেন।

পিয়ারা বেগম বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছিলাম। জীবনের শেষ বয়সে এসে একটু শান্তিতে বসবাস করব; কিন্তু তা আমার ভাগ্যে জোটেনি। আমার ক্যানসার ধরা পড়েছে। ডাক্তার বলেছেন আমার সময় বেশি নেই। কবে মরে যাই জানি না। ছেলে আমার কোনো খোঁজ নেয় না। আমি আমার বাড়িঘর ছেলের নামে লিখে দেওয়ার পর সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাকে কোনো প্রকার ভরণপোষণ দেয় না। অবশেষে আমি নিরুপায় হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই। আদালত ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

তিনি বলেন, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে গেলে সে আদালতে আমার ভরণপোষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়; কিন্তু আমি তো মা আমি তাকে নিজ জিম্মায় জামিন করাই। পরে সে আদালত থেকে ফিরে এসে আমাকে মারধর করে। এ বিষয়ে আমি বন্দর থানা, পুলিশ সুপারসহ সেনাক্যাম্পে অভিযোগ করি। যাতে আমার ছেলে আমার খোঁজখবর নেয়। তাতে আমি কোনো প্রতিকার পাইনি।

তিনি আরও বলেন, রোববার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে ঘরে দিয়ে যান। এরপর আমাকে আবারও বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমার ছেলে আমার ওপর এমন অত্যাচার করবে আমি কখনো কল্পনাও করিনি। আমি যত দিনই বেঁচে আমি ততদিন আমার চিকিৎসা প্রয়োজন; কিন্তু আমাকে আমার ছেলে দেখছে না।

এ বিষয়ে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি যখন বিদেশে ছিলাম তখন আমি আমার মায়ের কাছে টাকা পাঠিয়েছি। তিনি সব টাকা আমার বোনদের দিয়ে দিয়েছেন। গত রোববার স্থানীয়রা মাকে ঘরে দিয়ে যাওয়ার পর মা নিজেই বাড়ি থেকে চলে গেছেন।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জহিরুলের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পিয়ারা বেগমকে ওই বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম