Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাসিনাকে ধরে এনে ট্রাইব্যুনালের সামনে ফাঁসি দিতে হবে: মাসুদ সাঈদী

Icon

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

হাসিনাকে ধরে এনে ট্রাইব্যুনালের সামনে ফাঁসি দিতে হবে: মাসুদ সাঈদী

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীপুত্র মাসুদ বিন সাঈদী বলেছেন, ‘আল্লামা সাঈদীসহ ইসলামী আন্দোলনের কোনো নেতাদের কোনো অপরাধ ছিল না। তাদের একটি মাত্র অপরাধ ছিল- তারা শুধুমাত্র স্বপ্রশংসিত আল্লাহর প্রশংসা করেছিল, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব কায়েমের রাজনীতি বাংলাদেশে করেছিল এটাই তাদের অপরাধ। আল্লামা সাঈদীকে যারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সেই খুনি হাসিনার বিচার আমরা চাই। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাই খুনি হাসিনাকে ভারত থেকে ধরে এনে বাংলাদেশে প্রকাশ্যে ওই ট্রাইব্যুনালের সামনে ফাঁসি দিতে হবে। আমরা আল্লামা সাঈদীসহ ইসলামী আন্দোলনের সব আলেম হত্যার বিচার চাই।

তিনি বলেন, ২০১০ সালের ২৯ জুন আল্লামা সাঈদীকে খুনি হাসিনা সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে গ্রেফতার করেছে। যখন তাকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল যুদ্ধাপরাধ নয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলা। যে মানুষটি ৫২ বছর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ৫০টি দেশ ঘুরে মানুষকে কোরআনের দাওয়াত দিয়েছেন, যে মানুষের মুখে কুরআন শুনে পৃথিবীতে প্রায় এক হাজারের অধিক বিধর্মী ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছেন সেই মানুষটি নাকি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। এই আঘাতের মিথ্যা হাস্যকর মামলায় তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে ১৩টি বছর রেখেছিলেন। সাক্ষীদের ক্ষেত্রে আপনারা জানেন মামলার সাক্ষীদেরকে ঢাকার সেফহাউজ নামক একটি জায়গায় দিনের পর দিন ট্রেনিং দিয়ে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হতো।

রোববার রাতে মীরসরাই উপজেলার ৯ নম্বর মীরসরাই সদর ইউনিয়নের পূর্ব কিসমত জাফরাবাদ রহমাতুল্লিল আলামীন ইসলামিক একাডেমি ও হেফজখানার উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাসুদ বিন সাঈদী বলেন, আমরা কারাগারে আব্বার সঙ্গে প্রতি মাসে একবার করে সাক্ষাতের সুযোগ পেতাম। ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট যখন আব্বাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার ২৬ দিন আগে আমরা আব্বার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আর চার দিন পর আব্বার সঙ্গে আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজন সুস্থ মানুষকে কারাগার থেকে নিয়ে এসে পরিকল্পিতভাবে ভারতের প্রেসক্রিপশনে আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। যখন আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে আসা হয় আমি তখন হাসপাতালে অবস্থান করছিলাম, আমি অসংখ্যবার তাদের কাছে অনুরোধ করেছি আমার সঙ্গে একটিবারের জন্য দেখা করার জন্য। কিন্তু তারা আমার সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। কারণ আমার সঙ্গে যদি দেখা করতে দেওয়া হতো তাহলে যারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আল্লামা সাঈদীকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে সেটা ধরা পড়ে যেত। আমি যদি দেখা করতে পারতাম তাহলে আমার আব্বা নিশ্চয়ই আমাকে বলতেন আমার বুকে কোনো ব্যথা নেই আমাকে তারা পরিকল্পিতভাবে হাসপাতালে এনেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাবে বিধায় তারা আমাকে আব্বার সাথে এক মুহূর্তের জন্য দেখা করতে দেয়নি।

রহমাতুল্লিল আলামীন ইসলামিক একাডেমি ও হেফজখানা মাঠে আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ব্যবসায়ী আনোয়ারুল আজিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাহেরখালী আহমদিয়া হাবিবিয়া গণিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আনোয়ারুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং রহমাতুল্লিল আলামীন ইসলামিক একাডেমি ও হেফজখানার পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ রেজাউল মোস্তফা চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন নরসিংদী জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি কাজী ইব্রাহীম।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান।

এতে বিশেষ ওয়ায়েজিন হিসেবে ছিলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কুরআন গবেষক অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর মৌসুমী আবাসিক এলাকা জামে মসজিদের খতিব অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আলা উদ্দিন শিকদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল কবির, সাবেক আমির মাওলানা নুরুল করিম, জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম