রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। ঘটনাটি শনিবার রাতের।

সোমবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক মিনিট দুই সেকেন্ডের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। 

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে উলঙ্গ অবস্থায় শার্ট ও প্যান্ট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান। তখন এক যুবক তাকে চর-থাপ্পড় মারার পাশাপাশি গালাগালি করছেন। পাশ থেকে আরও এক যুবক তার ওপর চড়াও হচ্ছেন। পাশেই বোরকাপরা এক নারী দাঁড়িয়ে রয়েছেন। 

এ সময় হাফিজুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, বিষয়টা আমি বুঝছি, সমস্যা নাই। আমি আপনার ব্যবস্থা করতেছি তো, সমস্যা কী? আমি ব্যবস্থা করতেছি, অসুবিধা নাই। বিষয়টি যেটুকু আছে এটুকুই থাক। আমি ব্যবস্থা করতেছি, সমস্যা নাই। আমি ব্যবস্থা করতেছি। প্যান্টটা পড়ে নিই।

ওই যুবকদের বলতে শোনা যায়, গলার সাউন্ড নামান। বেয়াদবি করতেছেন কেন, সিনক্রিয়েট করতেছেন কেন?

ভিডিওটির ওপরে লেখা রয়েছে- রাজবাড়ী উপসহকারী কৃষি অফিসার ও সভাপতি ডিকেআইবি (ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন) রাজবাড়ী সদর হাফিজুর রহমান লুচ্চামি করতে গিয়ে কট সূর্যনগরে। তবে ভিডিওটি কবে কোথায় থেকে ধারণ করা হয়েছে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামে গিয়ে কয়েকজনের কাছে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে কথা বলতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত ও সরকারি দুটি নম্বরেই ফোন করা হয়। দুবারই এক নারী ফোন রিসিভ করে জানান, তিনি ফোন বাসায় রেখে বাইরে গেছেন। আধঘণ্টা পর আবারো ফোন করে দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিস ও হাফিজুর রহমানের কর্মস্থল মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত ইউনিয়ন কৃষি অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান যুগান্তরকে বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলে আমি শুনেছি। তবে ভিডিওটি আমি দেখিনি। লোকমুখে এ কথা শোনার পর আমি হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খুলনায় আছেন। আমাকে বিষয়টি খোঁজখবর নিতে বলেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।