Logo
Logo
×

সারাদেশ

মেম্বারকে মারধর, চেয়ারম্যানকে ভেতরে রেখে কার্যালয়ে যুবদল-ছাত্রদলের তালা

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ পিএম

মেম্বারকে মারধর, চেয়ারম্যানকে ভেতরে রেখে কার্যালয়ে যুবদল-ছাত্রদলের তালা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ইউপি সদস্যকে মারধর করে ইউপি চেয়ারম্যানকে ভেতরে রেখেই কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল, ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রায় এক ঘণ্টা চেয়ারম্যান তার কক্ষে অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় জনতা এসে তালা খুলে চেয়ারম্যানকে মুক্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।  

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মারধরের শিকার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. শামীম। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ সমর্থন করতাম; কিন্তু অতীতে কোনো অনিয়মের সঙ্গে ছিলাম না। এজন্য ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমরা যথারীতি ইউনিয়ন পরিষদে এসে সব কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

ইউপি সদস্য শামীম অভিযোগ করে আরও বলেন, দেড় মাস আগে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে কৃষকদের জন্য সার বরাদ্দ আসে।  সেখানে আমার ওয়ার্ডের ৪৫ জন কৃষকের সার পাওয়ার তালিকায় নাম ছিল। সোমবার সকালে গ্রামপুলিশ ও যুবদল নেতা সোহেলের মাধ্যমে তালিকা অনুসারে ওই সার বিতরণ শুরু করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে একই ওয়ার্ডের যুবদল নেতা রানা, জাবেদ ও ছাত্রদল নেতা মহসিন। পরে বেলা ১১টার দিকে তারা ১৫-২০ জন ইউনিয়ন পরিষদে যায়। সেখানে তারা আমার কাছে জানতে চায় কার অনুমতি নিয়ে সার বিতরণ করছি। একপর্যায়ে গ্রামপুলিশের কক্ষে ঢুকে আমাকে গালমন্দ করে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেয়। কিছুক্ষণ পর গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন মিন্টুকে তার কার্যালয়ের ভেতরে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হাবীবুর রহমান বলেন, সার বিতরণ নিয়ে হালকা একটা ঘটনা ঘটেছে। মেম্বার দল নিয়ে গালাগালি করলে একটু বাড়াবাড়ি হয়। তালা দিয়েছে, তালা আমি খুলে দিয়েছি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। আলাপ আলোচনা হয়েছে, আমরা বসে শেষ করে দেব, সামান্য একটা ব্যাপার। রানা ও মহসিন আমাদের দল করে। তবে জাবেদ নামে কাউকে আমি চিনি না।      

বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়ে। এক মেম্বারের সঙ্গে স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতার বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার নিয়ে যায় তারা। সেখানে চেয়ারম্যানের সঙ্গেও তাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতারা বিষয়টি সমাধান করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম