
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহকালে হামলা ও বেধড়ক মারপিটের শিকার হয়েছেন চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানা মামলা দায়ের হলেও পুলিশ চিহ্নিত হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।
সোমবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গেটের সামনে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তারা দোষীদের আইনের আওতায় আনতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। অন্যথায় কঠিন কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান তারা।
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগর বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের সামনে ন্যক্কারজনক হামলার শিকার হয়েছেন চিত্র সাংবাদিক ইমরান। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। চিহ্নিত হামলাকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে না পারে। তাহলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রোববার সকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক ইমরানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। এতে সে গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেন আগামীতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়। দেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বিভিন্ন সময় এ ধরনের হামলার বিচার না হওয়ায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। দোষীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে যাতে সাংবাদিকরা নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ইমরানের উপরে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন রোববার সকাল সাড়ে ৯টার সময় কুষ্টিয়া শহরের ফুলতলা এলাকায় প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র ইব্রাহিম নিহত হয়। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় ইমরান।
‘দৈনিক খবরওয়ালা’ নামে স্থানীয় একটি পত্রিকার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ চলাকালে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী রকি এবং আরিফুলসহ ১০-১২ জন তাকে হত্যার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং নাক পিঠ ও মাথা কেটে রক্তাক্ত জখমের করে। মেঘ না চাইতেই জল' স্লোগান দিয়ে দিয়ে ইমরানকে মারপিট করা হয়। যার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।