Logo
Logo
×

সারাদেশ

ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ: ছাত্রলীগ কর্মীকে আটকের পর ছেড়ে দিল পুলিশ

Icon

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫০ পিএম

ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ: ছাত্রলীগ কর্মীকে আটকের পর ছেড়ে দিল পুলিশ

বছর খানেক আগে ভোলার চরফ্যাশনে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে চার তরুণ। সে সময়ের ধারণ করা ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে অভিযুক্তদের একজন। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে পুলিশ অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে। পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের বাসিন্দা নিবিরের (২০) সঙ্গে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর জেরে ওই তরুণীকে ঢালচরের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একই এলাকার শরীফ, মনির ও আকতার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদেও দুজনকে আটক করে। ভয় দেখিয়ে প্রেমিকসহ ওই চারজন তরুণীকে ধর্ষণ করে।

রোববার অভিযুক্ত শরীফের নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে। মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে শরীফকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শরীফের বাবা নূরে আলম বলেন, ‘একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে শরীফকে আটক করে পুলিশ। পরে তার অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত শরীফ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য এবং তার বাবা নূরে আলম ৬ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য। নিবিরের বাবা এলাহী মেম্বার ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি। আর নিবির ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আরেক অভিযুক্ত মনির ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। তার বাবা গনি মাঝি একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। আরেক অভিযুক্ত আকতার ছাত্রলীগের সদস্য। তার বাবা আলাউদ্দিন ৯ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগের বিষয়ে ঢালচর ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ভোলা সদরে আছি। কি হয়েছে বলতে পারছি না। ফাঁড়িতে এসআই সোহেল রয়েছেন। তার কাছ থেকে জেনে পরে জানাতে পারব।’

ঢালচর ফাঁড়ির এসআই সোহেল বলেন, ‘শরীফের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কোনো ভিডিও পাওয়া যায়নি। তবে শরীফের আইডি থেকেই ভিডিওটি ছড়িয়েছে, তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। পরে হয়তো ভিডিওটি মুছে ফেলা হয়েছে।’ তথ্য যাচাই না করে কেন শরীফকে ছেড়ে দেওয়া হলো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওসি স্যারের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’

এ বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূইয়া বলেন, ‘ভিডিওটি এক বছর আগের। ভুক্তভোগী তরুণীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। আটককৃত তরুণের ফেসবুকেও ভিডিওটি পাওয়া যায়নি। তাই মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

এ ধরণের অপরাধে কাউকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সহকারি পুলিশ সুপারের (চরফ্যাসন সার্কেল) সঙ্গে কথা বলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসানের মোবাইলে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম