
শেরপুরের শ্রীবরদী পৌর এলাকার জালকাটা মহল্লায় বাণিজ্যিকভাবে ক্যারেটিনা জাতের রঙিন ফুলকপির চাষ করে সফলতা পেয়েছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষক মোশারফ হোসেন।
এই রঙিন ফুলকপি চাষ করে এলাকায় রীতিমতো চমক সৃষ্টি করেছেন কৃষক মোশারফ। বাড়ির পাশে ১৫ শতক ফসলি জমিতে এ বছর রঙিন ফুলকপির চাষ করেছেন তিনি।
অতি আগ্রহের সঙ্গে বিশেষ যত্ন আর পরিচর্যায় মাঠজুড়ে রঙিন কপির বিপুল সমারোহ এখন এলাকার দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। তাই প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন মোশারফের ফসলের মাঠে রঙিন কপি দেখতে। দেখতে এসে আবার অনেকেই কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন বাহারি রঙের এসব ফুলকপি। কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই উৎপাদন করা হয়েছে এসব রঙিন ফুলকপি।
সাদা ফুলকপির তুলনায় রঙিন ফুলকপির চাহিদা থাকায় দামও পাচ্ছেন অনেক বেশি। গত বছর স্বল্প পরিসরে রঙিন ফুলকপি চাষ করলেও এ বছর তিনি বাণিজ্যিকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে তিনি বাড়ির পাশে জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু করেন। তার দেখা দেখি অনেক কৃষক আগামীতে রঙিন ফুলকপি চাষে উদ্যোগ নিচ্ছেন।
কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, গত বছর বাড়ির পাশে স্বল্পপরিসরে রঙিন ফুলকপি চাষ করি। সাদা ফুলকপির তুলনায় এসব কপির বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সহযোগিতায় এবছর আমি ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপির চারা রোপণ করি। সব মিলিয়ে আমার খরচ হয় প্রায় ৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৭-৮ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছি, আশা করছি আরও ৩৫-৪০ হাজার টাকার মতো কপি বিক্রি করতে পারব।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ সুষম ক্যারেটিনা জাতের রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন কৃষক মোশারফ হোসেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সার ও বীজ প্রদানের মাধ্যমে তাকে সহযোগিতা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাদা ফুল কপির তুলনায় রঙিন ফুলকপির বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় তিনি এ বছর কপি বিক্রি করে অনেকটা লাভবান হয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের কাছে রঙিন কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আগামী বছর রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী চাষীদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে।