Logo
Logo
×

সারাদেশ

পাবনায় জামায়াতের অফিসে বিএনপির হামলা

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

পাবনায় জামায়াতের অফিসে বিএনপির হামলা

পাবনার হেমায়েতপুরে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় জামায়াত নেতাসহ স্থানীয় অপর কয়েকজন গ্রামবাসীর কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। 

রোববার বিকেলে পাবনা সদর থানায় এ ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি লিখিত এজাহার দায়ের হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। 

এজাহারে যাদের আসামি করা হয় তারা হলেন- মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবির হোসেন, চক পৈলানপুর মোড়ের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. রানা, তানজিল ওরফের টুকাই তানজিল, উজ্জ্বল হোসেন, বিএনপি নেতা রফিক হোসেন।জামায়াতের হেমায়েতপুর ৩নং ওয়ার্ড এর যুব বিষয়ক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে আনুমানিক ২৫-৩০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। 

একটি মুদিখানা দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করে। অটোরিকশার গ্যারেজ ভাঙচুরও করে। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিমসহ স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিহত শহিদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিম অভিযোগ করে বলেন, মালিগাছা ও হেমায়েতপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় ৫ আগস্টের পর থেকে  ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর,  অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণ করেছে। 

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি মোটেও অবগত নই। পূর্ববিরোধের জেরে একটু ঝামেলা হয় এবং থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি সবাইকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এর বেশি কিছু নয়।

পাবনা সদর থানার (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, জমিজমা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল। এ নিয়ে গতকাল রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওসি স্যারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার প্রতিবেদন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম