নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন মণ্ডল হত্যা মামলায় স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপি।

রোববার দুপুরে সাদুল্লাপুর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস ছালাম মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ধাপেরহাট ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল হত্যার শিকার হয়েছেন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তদন্তপূর্বক তাদের বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি এ ঘটনায় নিরপরাধ স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আব্দুস ছালাম মিয়া আরও বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলেও ধাপেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মিয়া, ধাপেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক দল সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম শিপন, ছাত্রদল সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান সেলিম, বিএনপি ধাপেরহাট ইউনিয়ন শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আমজাদ হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড শাখার সদস্য আনজু মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। এতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ হয়েছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন এই ঘটনার বেশ কয়েকটি সিসিটিবি ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত তাদের দেখা গেছে কিন্তু প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিএনপির কয়েকজন নিরপরাধ নেতাকর্মীকে জড়ানো হয়েছে। তাদের দ্রুত এ ঘটনার দায় থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেক দলের আহবায়ক নয়ন কবির নয়ন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সরকার, রফিকুল ইসলাম বাবলু, সদস্য নুর আলম মণ্ডল প্রমুখ।