Logo
Logo
×

সারাদেশ

ইমামের বুকে লাথি মারলেন যুবলীগ নেতা!

Icon

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম

ইমামের বুকে লাথি মারলেন যুবলীগ নেতা!

প্রতীকী ছবি

ফেসবুকে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে এক ইমামের বুকে লাথি মারা এবং তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শামিম নামক এক যুবলীগ নেতা ও তার ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে।

গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার বিচার চেয়ে অভিযুক্ত শামিমসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইমাম মোশাহিদুল ইসলাম। তিনি ওই ইউনিয়নের কোল্লাপাথর নুরানি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা শামিম ওই এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে। তিনি বায়েক ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় সদস্য ও তার ভগ্নিপতি মইন মিয়া একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের পাকপাঞ্জাতন দরবার শরিফের জিকিরের একটি ভিডিও ফেসবুকে অভিযুক্ত শামিমের আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। ওই ভিডিওর কমেন্টে ‘নাম্বার ছাড়া ভণ্ড’ লেখেন ইমাম মোশাহিদুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার একটি দাওয়াতে যাওয়ার সময় শামিম তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন ও তার বুকে লাথি মারেন।

এ ঘটনার পর থেকে সামাজিকভাবে ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ইমাম মোশাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আমি হক কথা বলেছিলাম বলে শামিম ও তার ভগ্নিপতি মইন খান মিলে আমাকে মারধর ও আমার বুকে লাথি মেরেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাকে এখনো ফোনে হুমকি দিচ্ছে শামিমের লোকজন। তাই আমি প্রাণনাশের ভয়ে আছি।

তবে বুকে লাথি মারার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শামিম। তিনি জানান, হুজুর ফেসবুকে আমাকে কমেন্ট করায় আমি তার নম্বরে ফোন দিলে তিনি আমাকে হুমকি-ধমকি দেন। তাই গত শুক্রবার হুজুরকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে ডাক দিয়ে কমেন্ট করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তর্ক শুরু করলে আমি একপর্যায়ে রাগের বসে তাকে ধাক্কা দেই, তবে তার বুকে আমি লাথি মারিনি।

এদিকে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাশ জানান, ইমাম সাহেবকে নির্যাতনের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম